ছন্দে ছন্দে জীবনের কথা – বাস্তবতার সাথে মিল খোঁজে স্টেটাস
১
একটা সময় ঠিকই আসে কঠিন পরাজয়।
বাড়াবাড়ি যেই করেছে তার হয়েছে ক্ষতি,
মহাকালের ছোবল খেয়ে-কঠিন অবনতি।
হিসাব ছাড়াই এই যে করো অপব্যবহার,
সারা জীবন থাকবা বেঁচে সাধ্য আছে কার?
বিশাল বিশাল বাঘ দেখেছো খাচার ভেতর থাকে?
ছোট্ট কুকুর বাইরে বসেই নির্ভাবনায়
ডাকে!
অহংকারীর অবস্থা সেই বিশাল বাঘের মতো,
রোষানলে আটকা পড়ে না হলে সংযত।
২
পদে পদে দিতে হয় আজ তার মাশুল।
যাদের আমি আপন ভাবি তারা আপন ভাবে না,
রোজ শুনি এই রকম স্বামীর বাড়ি পাবে না।
মুখের উপর মিষ্টি কথা হিংসা জমা বুকে,
কি যে সুখে রাখছেন আমায় যায় না বলা মুখে।
৩
তাইতো আজ সব ছেরে তোর কাছেতেই আসা।
তুই আমার আঁধার ঘরের শেষ আলোর ছটা,
করে রাখিস আমায় তোর কপালের
কালো ফোটা।
তোর জন্য ছেরেছি আমি অতীত বর্তমান,
ভালবেসে দিস শুধু একটু সম্মান।
তোরে পাওয়ার নেশায় তর ভুলেছি দোষ সব,
কত ভালবাসি তোরে জানে স্বয়ং রব।
সারাক্ষণ ইচ্ছে করে জড়াই তোরে বুকে,
বাকি জিবন বাঁচতে চাই তোকে নিয়েই সুখে।
৪
অলঙ্ঘিত ভাগ্য লিপি কেমনে দেবো রুখে!
অন্ধকারে বন্দী হয়ে থাকবো কেন বলো,
সঙ্গি আমার রাতের আকাশ চাঁদ-তারোকার দলও।
গড়াই নদী পাশেই থাকে দুঃখ ব্যথা ধুয়ে,
একলা থাকার কষ্ট ভুলি শীতল পানি ছুঁয়ে।
পুড়ছে যারা অহংকারে পড়ুক আরো বেশি,
চাই না দেখুক, তারা আমার-দাপোটবাজির পেশি।
কিছু মানুষ ডুবে থাকে মিথ্যা কথার ভারে,
মিল পড়ে না চিন্তা ভাবনায় কিংবা ব্যবহারে।
প্রশান্তির এক ফুলের বাগান হাতের কাছেই রাখি,
ঈমানটাকে ছাউনি করে জীবনটাকে ঢাকি।
৫
ঘ্যাঘো ঘ্যাঘো উঠলো ডেকে কোলাব্যাঙের পিসি
বৃষ্টি মেয়ে আসলো ধেয়ে রাত্রি তখন নিশি!
সোনা ব্যাঙের পোনাদেরও টুটলো রাতের ঘুম
খালে বিলে সবাই মিলে বেজায় খুশীর ধুম!
গেছো ব্যাঙের মেসো যখন হুকায় দিলো টান
গুড়গুড়িয়ে কাঁদলো আকাশ নদে এলো বান।
বানের জলে- রসাতলে ঝিঁঝিঁব্যাঙের ঘর
তাই না দেখে পাল্টে গেলো কুণিব্যাঙের স্বর!
৬
যখন মা গো কেউ বুঝেনি আমার মনের ভাষা,
তখনো মা পেয়েছি আমি তোমার ভালোবাসা।
সেই সময়ে যদি মাগো কাঁদছি আমি যব,
তখন তুমি মনের ভাষা বুঝে গেছো সব।
যখন আমার চলার মতো জোর ছিলো না গায়ে,
তখন আমার সকল সেবা করছে আমার মায়ে।
যখন থেকে মা গো আমার ফুটলো বুলি,
তখন থেকেই তোমার নামের সুরটা আমি তুলি।
যখন থেকে তোমায় আমি আম্মু বলে ডাকি,
তখন থেকে হৃদয় মাঝে তোমার ছবিই আঁকি।
এই জগতে সবার সেরা মা গো তোমার প্রীতি,
কেমন করে ভুলি মা গো তোমার এসব স্মৃতি।
৭
আমার মতে ধনী তিনি মা আছে যার,
আদর সোহাগ কে পাবে তাঁর মতো আর।
দুঃখ গুলো বলতে পারে মায়ের কাছে বসে,
জীবন যুদ্ধে চলতে পারে কঠিন সময় হেসে।
তাঁর মতোন সুখী মানুষ আর কেহ নাই,
মা যে ভবে সবচেয়ে দামী দেখতে সবে পাই।
মায়ের মনে ভুলেও কেউ কষ্ট দিসনে ভাই,
সবার মা ভালো থাকুক এটাই শুধু চাই।
৮
বাবার মতো কেউ করেনি একটু আমার খোঁজ।
আমি ছিলাম বাবার কাছে খুব আদরের মেয়ে,
বাবার শোকে অশ্রু আমার যাচ্ছে দুচোখে বেয়ে।
ও বাবা গো! কেমন করে-রইলে আমায় ভুলে,
তোমার স্মৃতি মন সাগরে উঠছে হেলে দুলে।
মনে যদি ব্যথা পেতাম বলতে সোনা মা'রে,
এই বাবাটা থাকতে বেঁচে দুঃখ আসতে পারে?
লেখাপড়ায় ফাঁকি দিলে বলতে মাগো শোনো,
অনেক বড় হতেই হবে স্বপ্ন মনে বোনো।
৯
প্রতিবেশি কথায় কথায় মনে দূঃখ আঁকে।
বাবা তাহার আর দেখে না কইরা নতুন বিয়া,
নিশি রাতে কান্দে জলু আপন মায়ের লাগিয়া।
অনাথ জলু এই জগতে পাইনা কোথাও ঠাঁই,
মা যে তাঁহার মারা গেছে আপন কেহ নাই।
জলুর চোখে জলের স্রোত মনে বাথার পাহাড়,
কে করিবে নিরব তারে করবে নদী পাড়।
১০
বাস্তবতা কত কঠিন আজকে চিনেছি।
কঠিন সময় সাহস দেওয়ার বাবা ছাড়া কে?
বাবার ছায়া সেই তো বুঝে হারিয়েছে যে।
বাবা মানে অশ্রু মুছার অন্যরকম হাত,
চন্দ্র হয়ে জোৎস্না বিলায় বিষন্নতার রাত।